রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার  :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত ন্যাশনাল টি কোম্পানীর মালিকানাধীন পাত্রখোলা চা বাগান শ্রমিকদের সাথে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করেন ।

আজ শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টায় গণভবন থেকে মৌলভীবাজার সহ দেশের ৪টি স্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স কথা বলেন।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ হাসানে সঞ্চালনায়, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের সাথে মৌলভীবাজারে জেলার চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ছিল দূর্গাপূজার আগে চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলবেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর চা শ্রমিকদের সাথে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেন ।

প্রধানমন্ত্রী চা বাগানের শ্রমিদের কথা শোনেন, এসময় শ্রমিকর রীতা পাইনকা বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের চা শ্রমিকদের নাগরিত্ব দেন, আমরা নৌকা ছাড়া কোন প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেই না।বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের সুখে দুখে পাশে থাকবেন এটি আমরা প্রত্যাশা করি। সিলেট ও হবিগঞ্জে মৌলভীবাজারের চার জন কথা বলেন, এসময় তারস চা শ্রমিকরা মালিক পক্ষের রেশনের ভূল তথ্য তুলে ধরেন।চা বাগানের বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখা শেখ হাসিনা চা বাগানের শ্রমিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি আপনাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, মজুরি বিষয়ের উন্নয়নে কাজ করছি, ধীরে ধীরে চা শ্রমিকদের পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরোও বলেন ধীরে ধীরে চা বাগানের সকল সমস্যা সমাধান করবেন। চা শ্রমিকদের পাশে তিনি সব সময় থাকবেন বলে জানান,।

চা বাগানের স্মরণকালের দীর্ঘতম ধর্মঘট যখন গভীর সংকটে দেশের চা শিল্প, তখন প্রধানমন্ত্রী আশ্বাসেই ধর্মঘট ভেঙে কাজে যোগ দেন চা শ্রমিকেরা।

টানা ১৯ দিন মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের ন্যায় মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগান, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্রগ্রাম সহ সারা দেশের চা বাগানে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করে। এর মধ্যে কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠক হয় ও ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন চা শ্রমিক নেতৃবৃন্ধ। তা আবার সাধারণ শ্রমিকদের চাপে প্রত্যাখানও করা হয়।

১৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির দাবী নিয়ে শ্রমিক ও বাগান মালিকদের মধ্যে বৈঠক বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তর ঢাকা কার্যালয় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বাগান মালিক পক্ষ ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকা করার কথা জানান। পরে শ্রমিকরা মাত্র ২০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি মেনে না নিয়ে তা প্রত্যাখান করেন।
২০ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১৪৫ টাকা ঘোষনা আসার পর শ্রীমঙ্গল শ্রম দপ্তরে বিকেলে বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে ১৪৫টাকা মজুরী নির্ধারনের বিষয়টি শ্রমিকদের জানানো হলে তাৎক্ষনিক মেনে নিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। এর ঘন্টা খানেক পর চা শ্রমিকরা প্রত্যাখান করে মিছিল করেন।

২৩ আগষ্ট রাত ১০টায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা বৈঠক শুরু হওয়া বৈঠক মধ্যরাতে হয়। পূর্বের মজুরী ১২০ টাকায় কাজে যোগ দেবেন মেনে বৈঠকে ৮ জন শ্রমিক নেতৃবৃন্ধ প্রশাসনের সাথে যৌথ স্বাক্ষর করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। পরে তারা সাধারণ শ্রমিকের চাপে তা প্রত্যাখান করেন।
২৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় গণভবনে মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক শেষে ১৭০ টাকা মুজুরী নির্ধারণ হলে চা শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পর দিন ২৮ তারিখ তারা কাজে যোগ দেন। ওই দিন দূপুর থেকে শ্রমিকরা আনন্দ মিছিল করেন। আন্দোলন চলা কালে ১২০ টাকা থেকে ২ দফা মজুরী বাড়িয়ে ১৪৫টাকা ও পরে ১৭০ টাকা মুজুরী নির্ধারণ করা হলে চা শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন।

উল্লেখ্য গত ৯ আগষ্ট থেকে শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরীর দাবীতে ধর্মঘটে নামেন শ্রমিকরা। ১৭০ টাকা মুজুরী নির্ধারণ হলে ২৭ আগষ্ট অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের অবসান ঘটে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন । মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগান সহ সারা দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের সকল কথা শোনেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com